চলচ্চিত্র পরিচালক রোশনী আলির করা মামলায় কালী পুজোয় বাজি নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট
চলচ্চিত্র পরিচালক রোশনী আলীর করা মামলায় দীপাবলিতে বাজি নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট। তবে, বড়বাজার বাজি অ্যাসোসিয়েশন রোশনীর করা জনস্বার্থ মামলার, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট, অতিমারী আবহে এবার দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেল। ২০২১ -এও নিষিদ্ধ করেছিল,এবারও তার অন্যথা হয়নি। কালীপুজোর দিন কয়েক আগেই উচ্চ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল যে, এবারও কোনওরকম বাজি পোড়ানো যাবে না।শুক্রবার মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের অবসরকালীন বেঞ্চে।
এমনকী, বাজি বিকিকিনির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দীপাবলি মানে শুধু আলোর উৎসব। তাই মোম-প্রদীপ জ্বালিয়েই দীপাবলি, গুরুনানকের জন্মদিন পালন করার নির্দেশ দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। অতঃপর বাজি ব্যবসায়ী-ক্রেতা প্রেমীরা মনমরা। কিন্তু বাড়ির পোষ্য কিংবা পথপশুদের জন্য যে এই নির্দেশ কতটা মঙ্গলের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যে মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সমাজসেবীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে তিনি হলেন রোশনী আলি।
আদালতে রোশনি দাবি তুলেছিলেন যে, অতিমারী পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এমতাবস্থায় গত বছর যেভাবে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হয়েছিল, এবছরও তাই করা হোক। কারণ, বাজির ধোঁয়ায় যে বায়ুদূষণ হয় তাতে বয়স্কদের পাশাপাশি বাচ্চাদেরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। আর কলকাতার সেই মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালকের আবেদনেই সাড়া দিয়েছে আদালত। গত বছরের মতো এবারও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাজি।কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সায় জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রোশনী।
তবে, বড়বাজার বাজি অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে রোশনীর জনস্বার্থ মামলা-কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যার শুনানি খুব শীঘ্রই হবে বলে রোশনী জানিয়েছেন।
এদিকে কালীপুজোর আগে আবার বাজি বাজারের স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। ময়দানে নয়, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এবার বাজির বাজার বসছে উত্তর কলকাতা সিঁথির সার্কাস ময়দানে। গত সপ্তাহেই নবান্নে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। তাঁর দাবি, বাজার বসানোর জন্য দমকলের ছাড়পত্র ও সরকারের অনুমতি মিলেছে।
এখন সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রোশনী আলি।
ছবি : রোশনী আলি ইন্স্টাগ্রাম