বছর তিনেক আগে ১৪ই জুন সুশান্ত পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে, প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে তুলোধনা সুশান্ত প্রেমীদের !

Kolkata: বছর তিনেক আগে ১৪ই জুন, সকালে একটা খবর.. সুশান্ত পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে, তোলপাড় চলেছিল গোটা বলিউড জুড়ে। কিন্তু আজও সুবিচার পাননি সুশান্ত সিং রাজপুত। অভিনেতার মৃত্যু ঘিরে রয়েছে গভীর অসন্তোষ। তাঁকে কী খুন করা হয়েছিল? নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, এরকম নানা অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে বেশি যার দিকে আঙুল তোলে সবাই, সে হচ্ছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী।

তাঁর তিন বছরের মৃত্যুবার্ষিকীতেও সকলের মনে একটাই নাম, রিয়া। সারা আলি খান থেকে কৃতি স্যানন তাঁকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেছেন। কিন্তু কটাক্ষের শিকার রিয়া। তাঁকে যেন বিন্দুমাত্র সহ্যই করতে পারে না সুশান্তের ফ্যানরা।

নিজেদের এক সুন্দর ভিডিও রিয়া তাঁর ইন্স্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন । নীচে লিঙ্কটা রইল –

https://www.instagram.com/reel/CtdWEz3Kxjy/?utm_source=ig_web_copy_link&igshid=MzRlODBiNWFlZA==

আর সেই পোস্টেই শুরু হল রিয়ার তুলোধনা। কেউ কেউ বলছেন, ঢং করছেন? ইয়ার্কি করছেন? কেউ আবার রিয়াকে বলছেন “তুমি পেত্নী”, আবার কেউ বলছেন, “নির্লজ্জ”। সোজাসুজি আবার কেউ বলেই ফেললেন, “এত যখন ভালবাসা ছিল তখন ওকে মারলে কেন?” আবার কেউ বলছেন, “মৃত্যুর আগেও ব্যবহার করেছ আবার মরে যাওয়ার পরেও সিমপ্যথি আদায় করার চেষ্টা?” এরকম নানারকম অভিযোগের আঙুল ওঠে অভিনেত্রীর দিকে।

এমনিতেই রিয়া এবং তার পরিবারকে সুশান্তের মৃত্যুর পর, অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। জেল হাজত থেকে বলিউডের কেরিয়ার, মাদককাণ্ডে নাম জড়ায় রিয়ার। তবে, বর্তমানে সমস্ত বাঁধা কাটিয়ে রোডিস এর গ্যাং লিডার হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

অন্যদিকে, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সিবিআই এখনও এই মামলার কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। দিশা সালিয়ান,সুশান্ত সিংয়ের ম্যানেজার,সুশান্তের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই মারা যান।

তবে, মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, হতাশা থেকেই সুশান্ত এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত, সুশান্ত নিজের এবং ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মানসিক অসুস্থতার কারণ জানতে সবচেয়ে বেশি গুগল সার্চ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

ছবি : Rhea Chakraborty Instagram

Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *