কলকাতার একদম কাছে ভার্জিন বীচ ! ভীষণ সুন্দর, না দেখলে মিস করবেন !

কাঁথি : এখন বাইরে বর্ষা চলছেই। এই সূয্যি মামার প্রচন্ড তাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত, এই বৃষ্টি। আর এই বর্ষায় সবচেয়ে বেশী পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় দীঘা -মন্দারমণির সমুদ্রতটে। কিন্তু যদি গুগল এ সার্চ করেন, ভার্জিন বীচ অফ বেঙ্গল, তখন গুগুল আমাদের বাঁকিপুটের কথা বলে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই ভার্জিন বীচটা আসলে কি। ঘুরে দেখাব, কিছুটা নির্জনতা, কিছুটা ইতিহাস, আর সমুদ্রের ঢেউয়ের সুরে ভরপুর আমাদের ভার্জিন বিচ, বাঁকিপুটকে!
মসৃণ বেলাভূমিতে,হাঁটতে হাঁটতে লাল কাঁকড়ার তৈরী নকশাগুলি ছিল দেখার মত। তাদের কোনোভাবেই ক্যামেরাবন্দী করা যায়না! লাল কাঁকড়ার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হল পায়ের আওয়াজ পেলেই তারা লুকিয়ে পড়ে ছোট ছোট গর্তের নিরাপদ আশ্রয়ে। মোহনার খুব কাছেই বাঁকিপুট অবস্থিত। তাই ভাটাতে জল অনেক দূরে থাকে, আবার জোয়ারের সময় জল একদম কাছে এসে ‘থৈ থৈ আমার সাগর’৷  সকাল ১১ টা নাগাদ দেখলাম জলে কত দূরে! আর বিকেলের দিকে জল কত’ কাছে! এই অপরূপ সৌন্দর্য কিন্তু যেকোনোরকম মন খারাপকে দূরে ঠেলে দেবেই দেবে। কখন ৪-৫ ঘন্টা বসে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না।  যারা একটু নির্জনতা পছন্দ করেন, আর শুধু সাগরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গলা মেলাতে চান, বাঁকিপুট তাদের কাছে মায়াময়!
বাঁকিপুটে দেখার অনেক কিছুই রয়েছে।এখানে রয়েছে দরিয়াপুরের ৯৬ ফুট দীর্ঘ বাতিঘর। আর দরিয়াপুর থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের  কপাল কুণ্ডলার মন্দির। রয়েছে মোহনা। কেমন ভাবে নদী সাগরে মেশে সেটাও  চাক্ষুস করতে পারবেন রসুলপুর নদী এসে মিশেছে সাগরে। রয়েছে পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর।
 কলকাতা থেকে দীঘাগামী যেকোনো বাসে গিয়ে, কাঁথি বাইপাসে নেমে একটা টোটো নিয়ে সোজা বাঁকিপুট, মোটামুটি ১৮০-২০০ টাকা মতো লাগবে। এছাড়াও ব্রেক করে গেলে জুনপুটে নেমে একটা ভ্যান নিয়েও যাওয়া যেতে পারেন। বাঁকিপুটে পর্যটকদের তেমন আনাগোনা নেই বললেই চলে। তাই এখানে থাকার জায়গার বা খাওয়ার জায়গার তেমন সুবিধে নেই, তাই থাকার জন্য কাঁথিতেই অনেক গেস্ট হাউস পেয়ে যাবেন। তাই তাড়াতাড়ি এসে একদিনের জন্য় এই রূপসীকে উপভোগ করে যান।
আমরা ত্রয়ীর একটি ভিডিওর লিঙ্ক দিয়ে রাখলাম, আপনারা আরো বিস্তারিত তথ্য় ওখানে পেয়ে যাবেন :
       

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: আমরা ত্রয়ী

Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *